
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর আজ শিক্ষকদের উপস্থিতিতে পুরোপুরি ভরে গেছে। তাদের হাতে ছিল জাতীয় পতাকা, প্ল্যাকার্ড এবং নানা দাবির লেখা শ্লোগান। অনেক শিক্ষক সড়কের গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিয়ে অবস্থান করছেন। মাইকিংয়ের মাধ্যমে জানানো হয়েছে, শিক্ষকদের আন্দোলন তখনই শেষ হবে যখন তাদের দাবি পূর্ণাঙ্গভাবে মেনে নেওয়া হবে।
আন্দোলনের তৃতীয় দিনে শিক্ষকদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা এবং ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। অনেক শিক্ষক দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাতভর শহীদ মিনারে অবস্থান করছেন। তাদের মতে, সরকারের উদাসীনতা এবং দাবি উপেক্ষিত হওয়া তাদেরকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্ররোচিত করেছে।
এদিকে, এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী এক বিবৃতিতে বলেন, ‘সরকারি প্রজ্ঞাপন না আসা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন জোরদার হবে। শাহবাগে আজকের কর্মসূচি তারই অংশ।’
তিনি আরও জানান, গত সোমবার শহীদ মিনারে কর্মসূচি ঘোষণার সময় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, যখন পর্যন্ত সরকার প্রজ্ঞাপন জারি না করবে, আন্দোলনের পরিধি বাড়ানো হবে।
শিক্ষকরা জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির পাশাপাশি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জাতীয়করণের দাবি জানাচ্ছেন। কিন্তু সরকার এখনও তাদের দাবি বাস্তবায়ন করতে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। এই কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষকরা শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রেখে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ না করে আঙিনা বা শিক্ষক লাউঞ্জে অবস্থান করছেন, ফলে পাঠদান কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে। আন্দোলনের প্রথম দিন থেকেই শিক্ষকরা সরকারের সাড়া না পাওয়ায় কর্মবিরতি শুরু করেন, যা এখন পর্যন্ত চলছে।
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ এবং অন্যান্য দাবির ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোন ইতিবাচক সাড়া না পাওয়ায় শিক্ষকরা একত্রিত হয়ে নিজেদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।