
চিকিৎসকদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূূর্ণ অর্জন রোগীদের সুস্থতায় ফিরিয়ে আনা তাই করোনার মতো মহামারিতেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসকরা রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে গেছেন। তরুণ চিকিৎসকদের চিকিৎসা পেশার এই আত্মত্যাগের মহিমাকে ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর ২০২৫) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ইন্টার্নি চিকিৎসকদের ছাড়পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন একথা বলেন।
মেয়র বলেন, আজকে যেসব ইন্টার্নি চিকিৎসকদের ছাড়পত্র দেয়া হল তাদের মনে রাখতে হবে আপনাদের পূর্বসূরি চিকিৎসকরা করোনা মহামারীকালে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন। অনেকে চিকিৎসা দিতে গিয়ে মারা গেছেন, অনেকে রোগাক্রান্ত হয়ে আজো বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। তাদের এই আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা চিকিৎসা পেয়েছি। তরুণ চিকিৎসকদের আত্মত্যাগের এই মহিমাকে হৃদয়ে ধারণ করতে হবে।
মেয়র তার কারাবাসকালীন অভিজ্ঞতা স্মরণ করে বলেন, ডাক্তার হিসেবে আমাদের মূল দায়িত্ব হলো সবসময় রোগীদের পাশে থাকা। রোগীদের সুস্থতায়ই আমাদের সবচেয়ে বড় আনন্দ ও তৃপ্তি। কারাগারে থাকাকালীন সময়েও আমি চিকিৎসাসেবা দিয়ে গেছি। চিকিৎসা পেশা শুধু চাকরি নয়, এটি মানবসেবার এক মহান দায়িত্ব।
মেয়র বলেন, মানুষের আস্থার জায়গায় ডাক্তারদের পৌঁছাতে হবে। রোগীদের সঙ্গে আন্তরিক আচরণ করতে হবে। রোগীদের একটু মমতা দিয়ে কাউন্সেলিং করলে তারা যে মানসিক শক্তি পান তা তাদের দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করে।
তিনি ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলোর উল্লেখ করে বলেন, “৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ, ৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন এবং ২০২৪ সালের আন্দোলন—সব সময়ই ডাক্তাররা জনগণের পাশে ছিলেন। সকল চিকিৎসককে আহ্বান জানাই—লাল-সবুজের পতাকাকে বুকে ধারণ করে দেশ ও মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকতে হবে আমাদের।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. আব্দুর রব। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন চৌধুরী। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. ইলিয়াছ চৌধুরী, ডা. মনোজ চৌধুরী, ডা. মাহমুদুর রহমান, ডা. ফয়জুর রহমান, এবং ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালি প্রমুখ।