
সোমবার রাতে বাকলিয়া এক্সেস রোডে গোলাগুলিতে ছাত্রদল নেতা সাজ্জাদ নিহত, ১০ জনের বেশি আহত হয়।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) দিবাগত রাত ২টার দিকে বাকলিয়া এক্সেস রোড এলাকায় চসিক মেয়রের ছবি দিয়ে টাঙানো ব্যানারকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনা ঘটে। এতে মো. সাজ্জাদ (২৬) নামের এক ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান।
তিনি বলেন, মো. সাজ্জাদ (২৬) নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। তার বুকে গুলির আঘাত রয়েছে। এছাড়া গুলিবিদ্ধ আরও কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের ছবি দিয়ে টাঙানো একটি ব্যানার সরানো নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনা ঘটে। এর একটি পক্ষ মেয়রের অনুসারী যুবদল নেতা বাদশার নেতৃত্বে ছিল বলে জানা গেছে। অপর পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন সোহেল-বোরহান গ্রুপ। তার এক সময় যুবলীগ ও তাতীলীগ করতো। তারা বিএনপি নেতা গাজী সিরাজের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

যুবদল নেতা বাদশা জানান, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি গাজী সিরাজ এর অনুসারী হিসেবে পরিচিতরা ৫ আগষ্টের আগে সোহেল ও বোরহান যুবলীগ ও তাঁতিলীগ করতো।এখন তারা গাজী সিরাজের অনুসারী হিসেবে হয়েগেছে যুবদল নেতা।গত কিছুদিন আগে তারা সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত এবং গাজী সিরাজ এর ছবি দিয়ে ব্যানার লাগাই।আমরা ডা.শাহাদাত কে একথা বলার পর তিনি গাজী সিরাজ বকাবকি করে এবং ব্যানার গুলো খুলে ফেলতে বলে। সে না খুলাই আমরা সবাই এ ব্যানার খুলতে যাই।তখন দেখি তারা আগে ব্যানার খুলে ফেলে।তখন আমরা চলে আসি।পরে সিরাজের অনুসারী সে যুবলীগ ও তাঁতিলীগের নেতারা যুবদল নেতা জসিম ধরে নিয়ে যায়।খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করতে গেলে আমাদের উপর হামলা চালায়।
যুবদল নেতা এমদাদুল বাদশা বলেন, অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তারা এত অস্ত্র কোথা থেকে পেয়েছে? তাদের অস্ত্র উদ্ধার করা হোক। গুলি করার আগে তারা বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়। তারা বিএনপির কেউ নয়; আগে যুবলীগ করত। ৫ আগস্টের পর যুবদলের নাম ব্যবহার করে নানা অপকর্ম করছে।
এতে ছাত্রদল নেতা সাজ্জাদ নিহত আরো ১০/১৫ জন গুলিবিদ্ধ হয় বলে জানায় বাদশা।
বিস্তারিত আসছে….







