
আগামী সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোটে যেসকল রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা নির্বাচিত হবেন, তারা ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রাখবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর ২টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো এবং বাংলাদেশের জনগণের ভোটে যারা নির্বাচিত হবেন, তারা একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের যাত্রার সূচনায় ভূমিকা রাখবেন। তারা এই দায়িত্ব পালনে অকুণ্ঠিত থাকবেন, সফল হবেন এবং বাংলাদেশকে একটা নতুন পথের দিকে অগ্রসর করবেন।’
তিনি বলেন, ‘সেই বিবেচনা থেকেই আমরা দুটো প্রস্তাব দিয়েছি। দুটো বিকল্প হিসেবে উপস্থাপন করেছি। আমরা সরকারকে মঙ্গলবার সকালে আমাদের প্রস্তাবের বিস্তারিত দেওয়ার পর অনুরোধ করেছি, যত দ্রুততার সঙ্গে সম্ভব তারা যেন এই বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সূচনা করেন। আমরা আশা করি, তারা সেটা করবেন।’
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন,‘৬টি সংস্কার কমিশনের ১৬৬টি সুপারিশ রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়। ৩০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসে সুপারিশগুলো আলোচনা করা হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত, বিশেষজ্ঞদের মতামত ও কমিশনের সদস্যদের অভিজ্ঞতা মিলিয়ে সুপারিশগুলো করা হয়। এছাড়াও সুপারিশমালায় সংবিধান সংক্রান্ত ৪৮টি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের কমিশন সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে ‘জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫’বাস্তবায়নের সুপারিশমালা হস্তান্তর করেছে কমিশন।







