
আগামীকাল ১ নভেম্বর শনিবার বন্ধের দিন বোর্ডের কোন কর্মকর্তাকে না রেখে পদোন্নতি কমিটির মিটিং আহবান করেছে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড এর চেয়ারম্যান। আওয়ামী পন্থী কর্মচারীদের পদোন্নতি দেওয়ার জন্য এ সভা আহবান।শিক্ষা বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান ইতিমধ্যে অনেক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এগুলো নিয়ে অনেক ঝামেলা ও হয়েছে। পালাতক আওয়ামী লীগের সময় বর্তমান চেয়ারম্যান ইলিয়াস উদ্দিন একজন আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন তিনি চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের সময়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যে ডিউ লেটার নিয়েছিলেন।সুপারিশ নিয়েছিল চেয়ারম্যান হতে।তিনি ৫ আগষ্ট এর পর বলে গেলেন বিপ্লবী। নেতাদের সুপারিশ নিয়ে হয়ে গেলেন চেয়ারম্যান।শনিবারের এই সভা নিয়ে বোর্ডের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যেই শুরু হয়েছে ক্ষোভ।
১৯৯৫ সালে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর ১৯৯৬ সালে বিভিন্ন পদে কর্মচারী নিয়োগের জন্য দরখাস্ত আহবান করা হয়। সরকারি,আধা সরকারি ও স্বায়িত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে পাঁচ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিদেরকে নিয়োগ দেওয়া হবে মর্মে বিজ্ঞাপনের প্রচারিত হয় ।
সে বিজ্ঞাপন মোতাবেক নিয়োগ দেয়া হয় ৫ জনকে
ব্যক্তিগণঃ-
১)মোহাম্মদ আলী আকবর সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক
(গোপনীয়) তখন সে চাকরি করতো চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট আর অভিজ্ঞতা সনদ সঠিক ছিল।
(২)আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক সহকারি কলেজ পরিদর্শ তিনি অভিজ্ঞতা সনদ দেখিয়েছিলেন কক্সবাজার শরণার্থী শিবিরের (যা ছিল ভুয়া)
(৩) মোঃ আব্দুল আজিজ সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (উচ্চ মাধ্যমিক) তিনি অভিজ্ঞতা সনদ দেখিয়েছিলেন এলজিইডি এর তাহার এক মামা চাকরি করতেন সেই সুবাদ ভূয়া অভিজ্ঞতা সনদ বানিয়ে দেখিয়েছিল এই ভুয়া অভিজ্ঞতা সনদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলে তদন্ত করার পর প্রমানিত হয়েছে তিনি তখানে এলজিইডি তে কোন চাকরি করেন নি (বর্তমানে মানবিক কারণে চাকরিতে আছেন)।
(৪) ইসরাত আর সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক সে চাকরি নিয়েছে পাহাড়ি কোঠায় পাহাড়ি চাকমা নেতা সন্তো লারমার সুপারিশক্রমে। অভিজ্ঞতা সনদ দেখেই ছিল রাঙ্গামাটি স্থানীয় সরকার অফিসে অফিস সহকারী পদে কিন্তু তিনি ওখানে কোন চাকরি করেন নাই ভূয়া অভিজ্ঞতা সনদ দেখাইছেন।
(অভিজ্ঞতা সনদ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ বর্তমানে তদন্তাধীন আছে) আশা করা যায় এই অভিজ্ঞতার সনদ ও ভূয়া প্রমাণিত হবে।
(৫) বিবা হিন্দু তাহার অভিজ্ঞতা সনদ সঠিক ছিল তিনি চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চাকরি পেয়েও চাকরিতে যোগদান করেন নাই বর্তমানে হালিশহর সিলভার ব্যালেন্স স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন।
এই পাঁচজনকে নিয়োগ দেওয়ার সময় বোর্ড কর্তৃপক্ষ এমন কোন প্যানেল তৈরি করে নি যারা চাকরিতে যোগদান করবেন না তাদের স্থলে ৬ নং ক্রমিক থেকেই অন্যদেরকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
এই সেই কথিত ওসমান গনি প্রসঙ্গেঃ-
(ওসমান গনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মৎস্যজীবী লীগের ১৯ নম্বর নির্বাহী সদস্য।)
(৬) ওসমান গনি সহকারী সচিব পদে কর্মরত আছেন।
এই তথাকথিত ওসমান গনি সেকশন অফিসার পদে ৯৬ সালে কোন নিয়োগ পাননি।
৯৬ থেকে ৯০ সালের আওয়ামী সরকারের সময়ে বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ডক্টর এনায়েত রহমান সাহেবকে হাতে পাইয়ে ধরে ৯০ সালে বোর্ডে দৈনিক ৭০ টাকা বেতনে দৈনিক ভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে সাবেক চেয়ারম্যান আহমদ হোসেনের মাধ্যমে ঘুষ লেনদেন করে সেকশন অফিস পদে সেই নিয়ম বহির্ভূত নিয়োগ পায়।
বিধি বহির্ভূতভাবে নিয়োগ পাওয়ার সময়ে সেকশন অফিসার পদে চাকরি করেছেন মর্মে একটি অভিজ্ঞতা সনদ দাখিল করেছেন কক্সবাজার পৌরসভা অফিসের।

ওই সময়ের পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিল আওয়ামী লীগের জনাব আফসার সাহেব এই আফসার সাহেব তাহার সম্পর্কে আত্মীয় ছিল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসার পর ৪ বার তদন্ত হয়েছে তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে সে কখনো কোন অবস্থাতে কক্সবাজার পৌরসভায় চাকরি করে নাই। দাখিলকৃত অভিজ্ঞতা সনদ ছিল ভুয়া। এছাড়াও
সে চেক জালিয়াত করে একজন পরীক্ষককের বিল আত্মসাৎ করেছিল সে কারণে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিল পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের নেতা আখতারুজ্জামান বাবুর সুপারিশে পুনঃ বহাল হয়। এরই পরবর্তীতে দেখা যায় সেই মহামান্য হাইকোর্টের ১ টি রিট মামলা জালিয়াত করে ফিল করা ছাত্রদেরকে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়। বিষয়টি অভিযোগ হলে তদন্ত করে দেখা যায় এই কথিত আওয়ামী লীগ নেতা ওসমান গণি সরাসরি জড়িত ছিল এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় পরবর্তীতেই আওয়ামী লীগের নেতা মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেনের সুপারিশে চাকুরী ফিরিয়ে দেওয়া হয় বেতনের নিম্ন ধাপে নামিয়ে দেওয়ার শর্তে। এরপরে সে বহুবার আবেদন নিবেদন করার পর তার আবেদন বিবেচিত হয় নাই।
এই ইলিয়াস উদ্দিন কে এই ওসমান গনি বহু টাকা পয়সা খরচ করেছিল বোর্ডের সচিব কিংবা চেয়ারম্যান পদে আনার জন্য ১৫ বৎসর আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল কিন্তু সেই সুযোগ ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে ৫ আগস্ট পরবর্তী শেখ হাসিনা সরকারের পতন হওয়ার পর টাকা পয়সার বিনিময়ী ইলিয়াস উদ্দিন চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ লাভ করে। চেয়ারম্যান পদে যোগদান করার পর অতীতের সাথী এই ওসমান গনিকে ছাড় দেওয়ার জন্য বোর্ডের তিনজন কর্মকর্তাকে দিয়ে একটি কমিটি গঠন করেন কমিটি যে রিপোর্ট দিয়েছে এই রিপোর্টে তাকে ছাড় দেওয়ার কোন সুপারিশ কর হয়নি। এই রিপোর্টকে জায়েজ করার জন্য বোর্ডের একজন প্যানেল এডভোকেট তৌহিদকে বাদ দিয়ে বোর্ডের সাবেক অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন সাহেব কে নিয়ম বহির্ভূতভাবে নিয়োগ দিয়েছেন। এডভোকেট নুরুল আলম থেকে ওসমানের পক্ষে মতামত নিয়ে বোর্ডের কোন কর্মকর্তার সাথে আলাপ আলোচনা না করে চেয়ারম্যান নথিভূক্ত করে ওসমানকে ছাড় করার ব্যবস্থা করেছে এখন চেয়ারম্যান ইলিয়াস উদ্দিন বলে বেড়ায় বোর্ডের শাখা প্রধান গন ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়ের প্রেক্ষিতে ওসমানকে ছাড় করা হয়েছে কিন্তু তথ্যটি ভুল।
ওসমানের বিষয়টা কার্যসম্পাদন করতে সময় নিয়েছে মোট ২৭ দিন । এরপরে নিয়ম বহির্ভূতভাবে হিসাব-নিকাশ দেখেই ১৫ লক্ষ টাকা তাকে দিয়ে দিয়েছে।

নিয়ম বহির্ভূতভাবে এই ওসমানকে শাস্তি থেকে অব্যাহতি পত্রে স্বাক্ষর করার কথা ছিল বোর্ডের সচিব কিন্তু তিনি স্বাক্ষর করেন নাই এমন কি বোর্ডের উপ সচিব, সহকারী সচিব কেউ স্বাক্ষর নেই। একজন পদোন্নতিপ্রাপ্ত বিশেষ কর্মকর্তা বিমল কান্তি চাকমাকে ফাইল নোটের মাধ্যমে বাধ্য করে সাক্ষ্য করানো হয়েছে।
তাকে ছাড় দেওয়ার পর চেয়ারম্যান একক ক্ষমতা বলে তাকে সহকারী সচিব বানিয়েছেন। সহকারী সচিব পদে বানানোর পর বোর্ডের নিয়োগ ও পদোন্নতি ফাইল তাকে দেওয়া হয়েছে ঘুষ লেনদেন করা হচ্ছে এছাড়াও বর্তমানে যে সমস্ত স্কুল কলেজ পরিদর্শন হচ্ছে এর মধ্যে ৪০ পারসেন্ট ওসমান গনি এবং ৪০ পার্সেন্ট আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক এই দুজনকে দিয়ে পরিদর্শন করানো হচ্ছে। অবশিষ্ট ২০% অন্যান্য কর্মকর্তাদেরকে দিয়ে পরিদর্শন করানো হচ্ছে। চেয়ারম্যান সাহেব বিদ্যালয় শাখার কর্মকর্তাদেরকে ডেকে জানিয়ে দিয়েছেন আমি যতদিন বোর্ডে চেয়ারম্যান পদে আছি ততদিন ওসমান এবং কাশেম সবকিছু পরিদর্শন করবেন। এই দুইজনকে দিয়ে পরিদর্শন করাই বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

এ চেয়ারম্যান ইলিয়াস উদ্দিন টেন্ডার বহির্ভূতভাবে স্পট কোটেশন এর মাধ্যমে তার একজন ছাত্রকে দিয়ে ঢাকাস্থ্য রেস্ট হাউসে এসি লাগাইয়াছেন নিম্ন দামের, শিক্ষা বোর্ডের কম্পিউটার শাখার মালামাল ক্রয় এসি লাগানো থেকে শুরু করেন সমস্ত প্রকার কাজ করেছেন ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে ।
কলেজ পরিদর্শক জনাব সারোয়ার আলম এর জন্য বিলাসবহুল রুম বানিয়েছেন তাহার অপকর্মের সহযোগী সেজন্য। চেয়ারম্যান ইলিয়াস উদ্দিনের যত প্রকার অপকর্ম আছে সিন্ডিকেট কলেজ পরিদর্শক সারওয়ার আলম,
সরকারি কলেজ পরিদর্শক আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক, সহকারী সচিব মোঃ ওসমান গনি এবং এম এল এস এস মোহাম্মদ ইয়াসিন।এদের সমন্বয়ে তিনি গড়ে তুলেছেন এই বিশাল সিন্ডিকেট।







