‘শহীদ জিয়া রূপরেখার মাধ্যমে দেশ ও জাতিকে পুর্নগঠন করেছেন- গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী

‘শহীদ জিয়া রূপরেখার মাধ্যমে দেশ ও জাতিকে পুর্নগঠন করেছেন- গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী

বিএনপির কেন্দ্রীয় জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য জননেতা আলহাজ গিয়াস উদ্দীন কাদের চৌধুরী বলেছেন ‘এই জাতিকে শহীদ জিয়া সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে দেশের যে পট পরিবর্তন করেছিল, তা জাতীয় ইতিহাসের এক গৌরবময় অধ্যায়। এটিকে অস্বীকার করার সুযোগ নেই। শহীদ জিয়া রূপরেখার মাধ্যমে দেশ ও জাতিকে পুর্নগঠন করেছেন।
রাউজান থেকে তার আগামী নির্বাচনে অংশ নেয়ার কঠোর বার্তা দিয়ে বলেন ‘যতদিন পর্যন্ত এই দেশের মানুষের রক্তের সাথে আমার রক্ত মিশে আছে, ততদিন আমাকে
ভোট থেকে কেউ বাদ দিতে পারবেনা। আমার রক্ত, আমার পরিবারের রক্ত যতদিন
রাউজানবাসীর সাথে মিশে আছে, ততক্ষণ আপনাদের কেউ বঞ্চিত করতে পারবেনা। আমরা আছি, আমরা থাকবো। যেকোন মূল্যে আমি আগামী নির্বাচন করবো।’
তিনি গতকাল শুক্রবার ৭ নভেম্বর সন্ধ্যার আগ মুহুর্তে ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি রাউজান
উপজেলা ও পৌরসভা, সহযোগী সংগঠনে যৌথ উদ্যোগে বিশাল জনসমাবেশ প্রধান অতিথির
বক্তব্য এসব কথা বলেন।
রাউজান সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত এই সমাবেশে রাউজান উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হুদা
চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ আহম্মদের সঞ্চলনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য আবু
জাফর চৌধুরী, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল্লাহ মাস্টার, বিএনপি নেতা মোসলেম উদ্দিন, উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি সাবের সুলতান কাজল, বিএনপি নেতা ফয়জুল ইসলাম টিপু চেয়ারম্যান, এইচ. এম. ইকবাল হাসান, দিদারুল আলম চেয়ারম্যান, পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কাজী আনিসুজ্জামান সোহেল, মোজাম্মেল হক, ইউসুপ তালুকদার, মো. মাসুদ, একরাম মিয়া, শাহাজান শাকিল, ইকবাল চৌধুরী, মো. ফরিদ, নুরুল আলম, শামসুল হক বাবু, রুমান, এস. এম. ইউছুপ, কাজী সরোয়ার খান মনজু, এডভোকেট তাজুল ইসলাম, এডভোকেট মফিজ উদ্দিন ইমন, নিজাম উদ্দীন, মো. হারুন উর রশিদ, এনাম উল্লাহ, মোহাম্মদ গিয়াস, আবুল কাশেম রানা, মোহাম্মদ মুমিন, মো. আজম, জানে আলম, নজরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর মিয়াজি, আবু হোসেন, সেলিম উদ্দিন, কামাল উদ্দিন, সাহাবউদ্দিন, তসলিম উদ্দিন ইমন, ছোটেন আজম, জাহেদ, মো. আলী সুমন, আবদুল কাদের, মোহাম্মদ তৈয়ব, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, সোহেল চৌধুরী প্রমুখ।
গিয়াস কাদের তার বক্তব্য আরো বলেন ‘রাউজানকে বাংলাদেশের একটি কলংকৃত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। রাউজানে নাকি এখন ভাড়াটিয়া কিলার পাওয়া যায়। যারা মানুষ মারে, ভাড়াটিয়া আছে, তাদের স্থান আর সমাজে দেয়া যাবেনা। রাউজানবাসী আর কলংকৃত হতে চায়না। দিনের দুপুরে মানুষ মারার স্বাধীনতা চাইনা। রাউজানে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড যেকোন কিছুর বিনিময়ে বন্ধ করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে রাউজানের বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে হাজারো নেতাকর্মী ব্যানার, পোস্টার ও স্লোগান নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন। সমগ্র কলেজ মাঠে ছিল জনস্রোত, শৃঙ্খলাবদ্ধ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সমাবেশটি সম্পন্ন হয়। সমাবেশ
শেষে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহ্বান জানান।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp
Share on email