‘জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন -সরওয়ার আলমগীর

‘জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন -সরওয়ার আলমগীর

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে বিএনপি’র মনোনীত প্রার্থী সরওয়ার আলমগীর বলেছেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে তৎকালীন সেনাপ্রধান, স্বাধীনতার মহান ঘোষক, শহীদ রাষ্টপতি জিয়াউর রহমান বন্দিদশা থেকে মুক্ত হন এবং পরবর্তীতে রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) ফটিকছড়ির রাজঘাট এলাকায় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশপ্রেমিক সৈনিক এবং জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে, যারা বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল এবং আধিপত্যবাদীদের ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করে জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। ৭ নভেম্বরের সিপাহী-জনতার বিপ্লব বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি টার্নিং পয়েন্ট ছিল। এ দিবস আমাদের সেই পথেই যেতে অনুপ্রাণিত করে, যে পথে সত্যিকার অর্থে আমরা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করতে পারব। একটা সমৃদ্ধ রাষ্ট্র নির্মাণ করতে পারব। জনগণের ভোটের অধিকারকে সত্যিকার অর্থে প্রতিষ্ঠা করতে পারব। বিচারের অধিকার নিশ্চিত করতে পারব। সেই লক্ষ্যেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশে ‘বাকশাল’ কায়েম হয়েছিল, কিন্তু জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন করে একটি ‘নতুন বাংলাদেশের’ সূচনা করেছিলেন। দেশে সংস্কারের সূচনা করেছিলেন।

ফটিকছড়ি বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে শুক্রবার (৭নভেম্বর) ফটিকছড়ি সদরে রাজঘাট এলাকায় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে সরওয়ার আলমগীর এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন- গণতন্ত্রকে আবার ধ্বংস করার জন্য একটি মহল চক্রান্ত করছে। কিন্তু দেশবাসি তাদের ষড়যন্ত্র চক্রান্ত প্রতিহত করবে।

‘জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন -সরওয়ার আলমগীর

অনুষ্ঠনে ফটিকছড়ি পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক মোবারক হোসেন কাঞ্চন’র সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ ও মুনসুর আলম চৌধুরীর যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষে অতিথি ছিলেন আহমদ হোসেন তালুকদার, জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব নাজিম উদ্দীন শাহীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল আলম চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী চেয়ারম্যান, আবুল কাসেম মেম্বার, মহিবুল্লাহ বাহার, আবুল খায়ের, বেলাল সওদাগর, হাফেজ জয়নাল আবেদীন, খালেদ বাবুল, আজম খান, ফয়েজ তারেক, জিয়াউল হক ফরহাদ, আহমদ রশিদ, মো. হেলাল, জাহেদ মেম্বার, বেলাল বিন নুর, সাইফুল হায়দার রাসেল, প্রিঞ্চ ওমর ফারুক, গাজী আমান উল্লাহ, আমান উল্লাহ, মো. এরশাদ, মোজাহারুল ইকবাল লাভলু, মহিন উদ্দিন মেসি, এম এ মাহফুজ, আবু বক্কর মউন প্রমুখ।

সমাবেশে শেষে দিবসটি উপলক্ষে একটি র‍্যালি বিবিরহাটের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp
Share on email