
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, আজকে আমরা যে মহান নেত্রীর জন্য দোয়া করতে সমবেত হয়েছি, তিনি দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব এবং জনগণের ভোটাধিকার রক্ষায় বারবার নির্ভীক ভূমিকা রেখেছেন। বেগম খালেদা জিয়া দেশের রাজনীতিতে মহীয়সী এক নারী। আত্মত্যাগের সংমিশ্রণে শক্তিশালী রাজনৈতিক চরিত্রের অধিকারী অনন্য নেত্রী। তিনি বাংলাদেশের মানুষের ভরসাস্থল। তিনি কখনো ক্ষমতার বিনিময়ে নীতিতে আপস করেননি। তিনি জাতির প্রেরণা ও গণতন্ত্রের আলোকবর্তিকা। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য বারবার নির্যাতিত হয়েছেন। তার নেতৃত্বেই এদেশে গণতন্ত্র ফিরে এসেছিল। আজ তিনি গুরুতর অসুস্থ। তার অসুস্থতা আমাদের গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করে। আমরা তার আশু রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনা করি।
তিনি বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বাদে আসর নগরীর তিন পুলের মাথাস্থ গোলাম রসুল মার্কেট জামে মসজিদে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় আলকরন ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত এক বিশেষ দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন।
দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন গোলাম রসুল মার্কেট জামে মসজিদের খতিব মুফতি গোলাম কিবরিয়া শরীফী। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি, দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা এবং দেশের উন্নতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আজকে দেশে কঠিন ক্রান্তিকাল চলছে। দীর্ঘদিন ধরে জনগণ ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত। আগামী নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দেশনেত্রীর সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসা অত্যন্ত জরুরি। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশের মানুষের হারানো অধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে। তিনি আমাদের কাছে শুধু একজন নেত্রী নন, তিনি আমাদের আস্থার শেষ আশ্রয়স্থল। দেশের মানুষ আজ তাঁর জন্য দোয়া করছে, অপেক্ষা করছে তাঁর সুস্থতার।
দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাবেক হকার্স বিষয়ক সম্পাদক আবদুল বাতেন, সাবেক সদস্য আবদুর রহমান, আলকরন ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক মো. জসিম মিয়া, ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন সংগ্রাম, মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. সেলিম খান, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সাবেক নেতা আনোয়ার হোসেন, আবুল কালাম, মো. রিয়াদ, ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হাজী মো. ইদ্রিস, আবদুস শুক্কুর, আকরাম হোসেন, সাদেকুর রহমান, মো. রাশেদ, ব্যবসায়ী নেতা মো. আলম, মো. আকবর, আবু তালেব, দিদারুল আলম, অঙ্গ সংগঠনের নেতা আমিন উল্লাহ, মো. হাসান, মো. বেলাল উদ্দিন, মিজানুর রহমান, মাঈন উদ্দিন রাজিব, মো. ইসহাক, দুলাল সওদাগর, মো. ইউসুফ, মাঈন উদ্দিন, মো. মহিন, মো. ফারুক, মো. ইসলাম প্রমুখ।







