বিএনপিতে যোগ দিয়ে ধানের শীষে নির্বাচন করবেন রাশেদ খান

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিএনপিতে যোগ দিয়ে ধানের শীষে নির্বাচন করবেন রাশেদ খান

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। দলটির সভাপতি নুরুল হক নুর জানিয়েছেন, রাশেদ খান বিএনপিতে যোগ দিয়ে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবেন। এই ঘোষণা যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত দলগুলোর মধ্যে নির্বাচনী কৌশল নিয়ে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

শুক্রবার রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নুরুল হক নুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সময় বিএনপির নেতৃত্বে প্রায় ৪২টি রাজনৈতিক দল একসঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেয়। সেই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্র সংস্কার ও যৌথ রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ গঠনের বিষয়ে তাদের মধ্যে বোঝাপড়া রয়েছে।

নুরুল হক নুর বলেন, বর্তমান আরপিও অনুযায়ী জোট করলেও ভোট করতে হয় নিজ নিজ মার্কায়। বাস্তবতা হলো সব দল সব আসনে জিততে পারবে না। তাই যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের অনেকেই কৌশলগতভাবে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য হয়ে ধানের শীষে নির্বাচন করছেন।

এই কৌশলের অংশ হিসেবেই গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান ঝিনাইদহ-৪ আসন থেকে ধানের শীষে নির্বাচন করবেন বলে জানান তিনি। নির্বাচনে অংশ নিতে রাশেদ খান গণ অধিকার পরিষদের পদ থেকে পদত্যাগ করবেন এবং শিগগিরই দলটিতে একজন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিয়োগ দেওয়া হবে বলেও জানান নুর।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি কেবল একজন প্রার্থীর দল বদল নয়, বরং বিরোধী রাজনীতির বৃহত্তর সমীকরণের অংশ। যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত ছোট ও মাঝারি দলগুলো বাস্তব রাজনীতির চাপে বড় দলের প্রতীকে নির্বাচনকে বাস্তবসম্মত পথ হিসেবে বেছে নিচ্ছে।

তবে এই সিদ্ধান্ত ঘিরে বিতর্কও তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে ঝিনাইদহে রাশেদ খানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় রাজনীতিতে এ সিদ্ধান্ত কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়েও আলোচনা চলছে।

নুরুল হক নুর এসব সমালোচনার জবাবে বলেন, আমাদের লক্ষ্য ক্ষমতায় যাওয়া নয়, রাষ্ট্র সংস্কার। সেই লক্ষ্য পূরণে যে কৌশল কার্যকর, আমরা সেটিই গ্রহণ করছি।

উল্লেখ্য, এর আগেও রাশেদ খান হাদি হত্যাকাণ্ড নিয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, নির্দিষ্ট কিছু রাজনৈতিক টার্গেটের তালিকায় হাদিও ছিলেন। সেই বক্তব্য দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দেয়।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এই ঘোষণা বিএনপি ও তার মিত্রদের জন্য একটি কৌশলগত সুবিধা তৈরি করবে বলে মনে করছেন অনেকেই। অন্যদিকে, গণ অধিকার পরিষদের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক অবস্থান নিয়েও নতুন করে প্রশ্ন উঠছে।

সব মিলিয়ে, রাশেদ খানের ধানের শীষে নির্বাচন শুধু একটি আসনের লড়াই নয় এটি আগামী নির্বাচনের রাজনীতিতে যুগপৎ আন্দোলনের বাস্তব রূপ ও কৌশলগত বাস্তবতার প্রতিফলন বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp
Share on email