পাগলা মসজিদের ৩৫ বস্তায় মিলল ১১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

পাগলা মসজিদের ৩৫ বস্তায় মিলল ১১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে দিন দিন বাড়ছে দানের পরিমাণ। এবার ৩ মাস ২৭ দিন পর ১৩টি লোহার দান বাক্স খুলে ৩৫ বস্তা টাকা পাওয়া যায়।

শনিবার সকাল ৭টায় দান সিন্দুকগুলো খোলা হয়। পরে দিনভর গণনা শেষে পাওয়া যায় ১১ কোটি ৭৮ লক্ষ ৪৮ হাজার ৫৩৮টাকা। এছাড়া বৈদেশি মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার।

সন্ধ্যা ৭টায় রূপালী ব্যাংকের রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

দানবাক্স খোলার সময় উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা, পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক মো. এরশাদুল আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খানসহ সেনাবাহিনী, র‍্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের বিপুল উপস্থিতি।

মস‌জিদ প‌রিচালনা ক‌মি‌টির সভাপ‌তি কি‌শোরগ‌ঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা জানান, দানের টাকা জমা রাখা হয় মস‌জি‌দের না‌মে খোলা একটি ব্যাংক একাউ‌ন্টে। প্রায় ১২০ কো‌টি টাকা ব্যয় বহুতল মস‌জিদ কম‌প্লেক্স নির্মা‌ণের উদ্যোগ নেয়া হ‌য়ে‌ছে। পাগলা মসজিদের টাকা নয়ছয় করার কোনো সুযোগ নেই। সুক্ষ্মভাবে প্রতিটি টাকার হিসাব রাখা হয়। প্রতিবার টাকাগুলো গুনে ব্যাংকের হিসাবে জমা রাখা হয়।

জনশ্রুতি আছে, কোনো এক সময় একজন আধ্যাত্মিক পাগল সাধকের বাস ছিল কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া ও রাখুয়াইল এলাকার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত নরসুন্দা নদীর মধ্যবর্তী স্থানে জেগে ওঠা চ‌রে। ওই পাগল সাধকের মৃত‌্যুর পর এখা‌নে নি‌র্মিত মস‌জিদ‌টি পাগলা মসজিদ হিসেবে প‌রি‌চি‌তি পায়।পাগলা মসজিদে মানত করলে মনের আশা পূর্ণ হয়। এমন ধারনা থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অসংখ্য মানুষ এ মসজিদে দান করে থাকেন। বি‌শেষ ক‌রে প্রতি শুক্রবার এখা‌নে হাজার হাজার মানু‌ষের ঢল না‌মে।

‎বর্তমানে পাগলা মসজিদ এর  ব্যাংক অ্যাকাউন্টে  ১০৪ কোটি টাকা ও  অনলাইনে জমা হয়ছে ১২ লক্ষ ৮৯ হাজর ৯ শত ৪৩ টাকা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp
Share on email