
চট্টগ্রামের চন্দনাইশে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারী কর্মীদের দশ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং পল্লী উন্নয়ন একাডেমীর বাস্তবায়নে “সমবায় ভিত্তিক খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি ও কৃষক জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন” শীর্ষক প্রকল্পের অর্থায়নে বাংলা মার্ক লিমিটেডের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে উপজেলার পশ্চিম এলাহাবাদ এলাকায় এ কর্মশালা আয়োজন করে।
প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য হলো সমবায় ভিত্তিক কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে শ্রম ও সময় সাশ্রয় করে উৎপাদন ব্যয় হ্রাস ও কৃষকের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সাধন। এর আওতায় সরকার ও বেসরকারি অংশীদারিত্বে ‘মেকানাইজেশন ভিলেজ’ প্রতিষ্ঠা, কৃষি যন্ত্রের লাভজনক ব্যবহার বিষয়ে গবেষণা, কৃষকদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং আয়বর্ধনমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে টেকসই কৃষি উৎপাদনের সুযোগ সৃষ্টি করা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পল্লী উন্নয়ন একাডেমীর (আরডিএ) মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব ড. এ. কে. এম. অলি উল্যা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক ড. একে. এম. সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের উপপরিচালক মোছাঃ রেবেকা সুলতানা। উপস্থিত ছিলেন বাংলামার্কর ডিএমডি মো: সিরাজুল ইসলাম, ইডি মো: নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আর আমদানি নয় এবার আমাদের লক্ষ্য কৃষিযন্ত্র রপ্তানি। বাংলামার্কের কৃষিযন্ত্র গবেষণা প্রস্তুত ও বিপণন কার্যক্রম বর্তমানে দেশের কৃষি যান্ত্রিকীকরণে একটি অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এখানে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর যন্ত্র উদ্ভাবন, নকশা উন্নয়ন, উপকরণ নির্বাচন, স্থানীয় কাঁচামাল ব্যবহার ও উৎপাদন খরচ হ্রাসে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। গবেষণা কার্যক্রমে মাঠপর্যায়ের চাহিদা, কৃষকের আর্থিক সক্ষমতা ও স্থানীয় জমির প্রকৃতি বিবেচনায় রেখে উপযোগী কৃষিযন্ত্র উদ্ভাবনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। প্রস্তুত প্রক্রিয়ায় দক্ষ কারিগর ও প্রকৌশলীরা যৌথভাবে কাজ করছেন, যাতে প্রতিটি যন্ত্র আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে দেশীয়ভাবে উৎপাদন করা যায়। বিপণন কার্যক্রমের মাধ্যমে এসব যন্ত্র দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকদের কাছে সহজলভ্য করা হচ্ছে এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা হচ্ছে। বাংলামার্কের এই উদ্যোগ শুধু কৃষি যান্ত্রিকীকরণকে ত্বরান্বিত করছে না, বরং কর্মসংস্থান সৃষ্টি, উদ্যোক্তা বিকাশ ও কৃষকের আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের গ্রামীণ অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করে তুলছে।