
চট্টগ্রামের উন্নয়ন, বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে ব্যবসায়ী সমাজের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা এখন সময়ের দাবি— এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের নেতৃবৃন্দ।রবিবার স্টেশন রোডস্থ মোটেল সৈকতে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা সব সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন, তবে এখন সময় এসেছে আরও সমন্বিত ও দূরদর্শী নেতৃত্বের।
সভায় সভাপতিত্ব করেন তামাকুন্ডি লেইন ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সরওয়ার কামাল।
অনুষ্ঠানের শুরুতে তিনি ব্যবসায়ী সমাজের ঐক্য ও সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী সমাজ যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে, তবে উন্নয়ন, বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও কর্মসংস্থানে আমরা নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারব।”
এ সময় বক্তব্য রাখেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান জনাব শাহজাহান মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, “এই নির্বাচন শুধুমাত্র নেতৃত্ব পরিবর্তনের নয়, বরং একটি ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ গঠনের আন্দোলন। সম্মিলিতভাবে কাজ করলে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা বিশ্ববাজারে আরও শক্ত অবস্থান নিতে পারবেন।”
সভায় প্যানেল লিডার এস. এম. নুরুল হক বলেন, “চট্টগ্রামের উন্নয়ন মানেই বাংলাদেশের উন্নয়ন। আমরা চাই এমন একটি চেম্বার, যা শুধু বড় শিল্পপতিদের নয়, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদেরও পাশে থাকবে। ব্যবসায়ীদের ন্যায্য স্বার্থ রক্ষা এবং কর–ভ্যাট সংক্রান্ত জটিলতা দূর করাই হবে আমাদের প্রথম লক্ষ্য।”
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দেশের রাজস্ব আয়ের প্রধান উৎস হলেও এই অঞ্চলের উন্নয়নে বরাদ্দ কম। তাই বন্দরের মোট আয়ের অন্তত ১০ শতাংশ চট্টগ্রামের উন্নয়নে বরাদ্দ দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানানো হবে।
মো. কামরুল হুদা বলেন, “ব্যবসায়ীরা শুধু অর্থনৈতিক কার্যক্রমের চালিকা শক্তি নয়, তাঁরা সমাজ উন্নয়নেরও অগ্রণী অংশীদার। স্থানীয় সমস্যাগুলো সমাধানে ব্যবসায়ী সমাজের ঐক্যই সবচেয়ে বড় শক্তি।”
অন্যান্য বক্তারা বলেন, চট্টগ্রামের ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিতে হবে। শিল্প অবকাঠামো, যোগাযোগব্যবস্থা, বন্দর ব্যবস্থাপনা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— মোহাম্মদ আইয়ুব, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, এসএম কামাল উদ্দিন, এটিএম রেজাউল করিম, আহমেদ রশিদ আমু, আহমেদ-উল আলম চৌধুরী (রাসেল), ইমাদ এরশাদ, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, কাজী ইমরান এফ. রহমান, মো. আবচার হোসেন, মো. আরিফ হোসেন, মো. হুমায়ুন কবির পাটোয়ারী, মোহাম্মদ আজিজুল হক, মোহাম্মদ রাশেদ আলী ও মোহাম্মদ মুছা।
বক্তারা আরও বলেন, সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ এমন একটি ব্যবসায়ী বান্ধব চেম্বার গঠনের প্রত্যয়ে নির্বাচন করছে, যা সকল শ্রেণির উদ্যোক্তার স্বার্থ রক্ষা করবে এবং চট্টগ্রামকে একটি বিশ্বমানের বাণিজ্যিক শহর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।







