
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, “চট্টগ্রাম বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী, দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের অন্যতম কেন্দ্র। এই নগরীর স্থায়ী উন্নয়ন নিশ্চিত করতে জার্মান সরকারের সহায়তা পেলে চট্টগ্রামকে একটি আধুনিক, পরিচ্ছন্ন ও বাসযোগ্য নগরীতে রূপান্তর করা সম্ভব।”
বৃহস্পতিবার সকালে টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে জার্মানির ডেপুটি অ্যাম্বেসেডর এনজা ক্রিস্টেন এর সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “জলাবদ্ধতা নিরসন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিবেশবান্ধব গণপরিবহন এবং নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নে জার্মান সরকারের প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “চিকিৎসক হিসেবে আমি জানি, মেডিকেল প্রযুক্তি খাতে জার্মানি বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় দেশ। তাদের উৎপাদিত যন্ত্রপাতি ও মেশিনারি অত্যন্ত মানসম্পন্ন। তেমনি পরিবহন ও শিল্পখাতে জার্মান পণ্যের স্থায়িত্ব ও দক্ষতা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। এই অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তি চট্টগ্রামের নগর উন্নয়নে ব্যবহার করা গেলে নগরবাসী উপকৃত হবে।”
এ সময় মেয়র চট্টগ্রামের বর্জ্য থেকে জ্বালানি উৎপাদন, স্মার্ট ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, সোলার স্ট্রিট লাইট, এবং বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ প্রকল্পে জার্মান কারিগরি সহায়তা কামনা করেন।
জার্মানির ডেপুটি অ্যাম্বেসেডর এনজা ক্রিস্টেন চসিক মেয়রের বক্তব্যের প্রশংসা করে বলেন, “জার্মান সরকার টেকসই নগর উন্নয়ন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং পরিবেশ সংরক্ষণে সবসময় সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত। চট্টগ্রামের উন্নয়ন পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমরা আগ্রহী।”
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন চসিকের সচিব মো. আশরাফুল আমিনসহ বিভাগীয় প্রধানবৃন্দ, ইস্পাহানি ফুডস লিমিটেডের এমডি এম শাকির ইস্পাহানি, জার্মান এম্বেসির ইকোনমিক সেকশনের এটাশে মেলানি ফেনার,
ছবির ক্যাপশন:
জার্মান ডেপুটি অ্যাম্বেসেডর এনজা ক্রিস্টেন-এর সঙ্গে মতবিনিময় করছেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।







