
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রঅধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিবকে সহসভাপতি (ভিপি) করে প্যানেল ঘোষণা করেছে ছাত্রদল। একই প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে রাখা হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তারের পর চার বছর পর অব্যাহতি পাওয়া খাদিজাতুল কুবরাকে।
সোমবার দুপুরে শহীদ মিনার চত্বরে রফিক ভবনের নিচতলায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্যানেল প্রকাশ করেন।
ভিপি পদে রাকিব উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী এবং জিএস পদে কুবরা রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের ছাত্রী।
সহ সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে মনোনয়ন পেয়েছেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী তানজিল ইসলাম।
‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ নামের এই প্যানেলকে নেতৃত্ব দেবে ছাত্রদলের এই তিন প্রার্থী।
অন্যান্য পদে মনোনয়ন পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন—
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র সম্পাদক: অনিক কুমার দাস
শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক: নুসরাত চৌধুরী জাফরিন
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক: মো. মাসফিকুল ইসলাম
স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক: আল শাহরিয়ার শাওন
আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক: অর্ঘ্য শ্রেষ্ঠ দাস
আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক: অপু মুন্সী
সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক: তাকরিম আহমেদ
ক্রীড়া সম্পাদক: মো. কামরুল হাসান নাফিস
পরিবহন সম্পাদক: মাহিদ হাসান
সমাজসেবা ও শিক্ষার্থীকল্যাণ সম্পাদক: মো. আনন বিন রহমান
পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদক: রিয়াসাল রাকিব।
নির্বাহী সদস্য পদের মধ্যে সাতটির মধ্যে ছয়টি নাম ঘোষণা করা হয়েছে—
ইমরান হাসান ইমন, সাদমান সাম্য, সুলতান মাহমুদ শুভ, মনিরুজ্জামান মনির, তৌহিদুল ইসলাম তামিম ও আরিফুল ইসলাম আরিফ।
অন্য একটি নির্বাহী সদস্যের নাম পরে জানানো হবে বলে ছাত্রদলের সভাপতি জানান।
জকসু নির্বাচনে মোট ২৩টি পদের মধ্যে সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম এবং ট্রেজারার অধ্যাপক সাবিনা শরমীন। বাকি ২১টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন শিক্ষার্থীরা।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন দাখিল ১৭–১৮ নভেম্বর, বাছাই ১৯–২০ নভেম্বর। প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হবে ২৩ নভেম্বর।
২৪–২৬ নভেম্বর আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি, ২৭ ও ৩০ নভেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট।
৩ ডিসেম্বর প্রকাশ হবে চূড়ান্ত তালিকা।
মনোনয়ন প্রত্যাহার করা যাবে ৪, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর; প্রত্যাহারকারীদের তালিকা প্রকাশ হবে ৯ ডিসেম্বর। সেদিন থেকেই শুরু হবে প্রচারণা, যা চলবে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ হবে ২২ ডিসেম্বর এবং সেদিনই ফলাফল ঘোষিত হবে।







