
চার সপ্তাহের থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন তানজিয়া জামান মিথিলা। মঙ্গলবার বিকেলে বিমানবন্দর থেকে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি দেশের মানুষ ও বিনোদন অঙ্গনের সকল সমর্থককে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
তানজিয়া মিথিলা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে থাইল্যান্ড যান। ২ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া ক্যাম্প রাউন্ডে তিনি সেরা ৩০-এর মধ্যে স্থান করে নেন। যদিও মুকুট জিততে পারেননি, তবু দেশের প্রতিনিধিত্বে সাফল্য পেয়েছেন বলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
মিথিলা বলেন, প্রথম ইচ্ছা ছিল বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে ঠিকভাবে উপস্থাপন করা। বাংলাদেশের পতাকা বহন করেছি। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে যত কষ্ট ও পরিশ্রম প্রয়োজন, তা আমি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত করেছি। প্রথম সারির তারকা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, সবাই আমার প্রতি যে বিশ্বাস ও ভালোবাসা দেখিয়েছেন, তা আমাকে অভিভূত করেছে।
বিমানবন্দরে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের হয়ে যতটা সম্ভব অবস্থান করা চেষ্টা করেছি। এই প্রতিযোগিতা আমাদের আরও প্রস্তুতি দরকার, যাতে ভবিষ্যতের প্রতিযোগীরা সহজে এই প্ল্যাটফর্মে এগোতে পারে। আমরা আশা করছি, পরবর্তী প্রতিযোগীরা আমাদের পরামর্শ ও সহযোগিতা পাবেন।
মিথিলার কথায়, এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া সহজ নয়। অনেক দেশ ৫০–৬০ বছর চেষ্টা করেও সাফল্য পায়নি। তবে আমাদের দেশের মানুষ ও সরকারি সহযোগিতা থাকলে সম্ভব। যারা আমাকে ভোট দিয়েছেন, তারা আসলে বাংলাদেশকে ভোট দিয়েছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে যাইনি, বাংলাদেশের পতাকা তুলে ধরতে গিয়েছি।
প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ধাপের মধ্যে ক্লোজডোর ইন্টারভিউ, ইভিনিং গাউন, ন্যাশনাল কস্টিউম ও সুইমস্যুট ওয়্যার গুরুত্বপূর্ণ। বিকিনি পরার বিতর্ক প্রসঙ্গে মিথিলা জানান, সুইমস্যুটওয়্যার ছাড়া সেরা ৩০-এ পৌঁছানো সম্ভব হতো না। আমি আমার দেশকে ছোট করিনি।
এদিকে, মিস ইউনিভার্স ২০২৫ প্রতিযোগিতা নানা বিতর্কের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। মেক্সিকোর ফাতিমা বশকে আয়োজক কর্তৃপক্ষের কাছে ‘অপমানিত’ করা হয়েছিল, যা প্রতিযোগীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছিল। চূড়ান্ত বিজয়ী হিসেবে ২৫ বছর বয়সী ফাতিমা বশ মুকুট জিতেছেন।







