হাটহাজারী এখন শান্ত, যানবাহন চলাচল শুরু

হাটহাজারী এখন শান্ত, যানবাহন চলাচল শুরু

চট্টগ্রামের আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম (হাটহাজারী মাদ্রাসা) সামনে এক যুবক অশোভন অঙ্গভঙ্গির করে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

দুই পক্ষের মধ্যে চলে সংঘর্ষ। গভীর রাত পর্যন্ত উত্তেজনা থাকে।হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ডে সুন্নি জনতা এবং বাজারে ছিল মাদ্রাসার ছাত্ররা।রাতে সেনাবাহিনীর এসে দুই পক্ষ কে শান্ত করার চেষ্টা চালাই।মাদ্রাসার মাইকে বারবার ঘোষণা দিয়ে ছাত্রদের ভেতরে চলে আসার জন্য বলা হয়।পরে হাটহাজারী মাদ্রাসার পরিচালক ও সহকারী পরিচালক মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন নিজে রাস্তায় এসে বক্তব্য রেখে ছাত্রদের শান্ত করার চেষ্টা করেন।

শনিবার সন্ধ্যায় হাটহাজারীতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ হয়। এতে ফটিকছড়ি, খাগড়াছড়ি সড়কে যানচলাচল বন্ধ থাকে ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আরিয়ান ইব্রাহিম নামের ওই যুবক সকালে নিজের ফেসবুক আইডিতে ছবি পোস্ট করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে কওমি মহলে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ফটিকছড়ি থানা-পুলিশ তাকে পৌর সদর থেকে আটক করে। আরিয়ান পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। আটক হওয়ার পর তিনি ভিডিও বার্তায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

ঘটনার পর হাটহাজারী পৌর এলাকার গোলচত্বরে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা বিক্ষোভ করেন। তারা সড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালান এবং একটি বাস ভাঙচুর করেন। এতে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

রাতে হাটহাজারী নির্বাহী কর্মকর্তা পৌরসভার এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেন।তিনি জনগণকে বারবার শান্ত থাকার আহবান জানান।

অন্যদিকে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, এ ধরনের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডে কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানলে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে দেখছে। তিনি সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ করেন।

সকালে হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি।

দুপুরে হাটহাজারী উপজেলা দুই পক্ষের সঙ্গে বৈঠক হবে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp
Share on email