জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার জেলা প্রশাসকের

জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার জেলা প্রশাসকের

জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন এর উদ্যোগ – প্রান্তিক পর্যায়ে গণশুনানি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার সকালে পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় নাগরিক সেবা বিষয়ক গণশুনানি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা খানম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. সাদি উর রহিম জাদিদ। আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানুর রহমান। এ সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) রয়া ত্রিপুরা সহ উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার জেলা প্রশাসকের

গণশুনানিতে কুসুমপুরা ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ বিভিন্ন সমস্যা ও অভিযোগ তুলে ধরলে জেলা প্রশাসক তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানযোগ্য বিষয়গুলো নিষ্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। এসময় উত্থাপিত ২১টি বিষয়ের মধ্যে ২০টির নিষ্পত্তিকরণে কার্যকর পদক্ষেপ নেন জেলা প্রশাসক। ভিক্ষুক ও গৃহহীন পুনর্বাসন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার মান উন্নয়ন, সড়ক উন্নয়ন, প্রতিবন্ধীদের সহায়তায় হুইলচেয়ার প্রদান, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা – প্রধানত এসকল বিষয় উঠে আসে আজকের এই গণশুনানিতে। জটিল সমস্যাগুলোর ক্ষেত্রে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন জেলা প্রশাসক তিনি জানান।

উল্লেখ্য, মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসক প্রতি বুধবার নিজ কার্যালয়ে গণশুনানি করেন। তবে কার্যক্রম মাঠপর্যায়ে এনে জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার অভিপ্রায়ে জেলা প্রশাসক চট্টগ্রামের এই অভিনব উদ্যোগ।

জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার জেলা প্রশাসকের

জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, “টাইম-কস্ট-ভিজিট – জনগণের ভোগান্তি লাঘবে এই তিনটি বিষয় সহজীকরণের লক্ষ্যে আমাদের ইউনিয়ন পর্যায়ে গণশুনানির এই উদ্যোগ। মানুষকে সেবা পেতে দৌড়াতে হবে না, প্রশাসন তাদের দোরগোড়ায় যাবে—এটাই আমাদের লক্ষ্য। এই ধরনের আয়োজন জনগণ ও প্রশাসনের মধ্যে আস্থা ও সহযোগিতার সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করবে বলে আমার বিশ্বাস।”

গণশুনানিতে অংশ নেওয়া সাধারণ মানুষ বলেন, জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়; আজ জেলা প্রশাসক নিজে এসে যেভাবে অভিযোগ শুনেছেন এবং সে আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছেন— তা অভাবনীয়। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে এরুপ গণশুনানি কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে প্রান্তিক পর্যায়ে উন্নয়ন কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp
Share on email