
রাউজান উপজেলার পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের উত্তর গুজরা আমির খান মুন্দার ফাউন্ডেশন এবং আমির খান মুন্দার নূরানী মাদরাসা ও হেফজ খানার যৌথ উদ্যোগে পবিত্র জশনে জুলুছে ঈদ-এ মিলাদুন্নবী(স:) উদযাপন উপলক্ষে আজিমুশশান মিলাদ মাহফিল ও মাদরাসার কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণী ১৭সেপ্টেম্বর বাদে আছর হতে পশ্চিম রূপচাঁদ নগর বায়তুল মামুর জামে মসজিদ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়।
উত্তর গুজরা আমির খান মুন্দার ফাউন্ডেশনের স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার শাহা আলমের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন এশিয়াখ্যাত কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল এম এ মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা বদিউল আলম আহমদী।
ফাউন্ডেশন অর্থ সম্পাদক সোহেল আরমানের সঞ্চলনায় বিশেষ বক্তা ছিলেন মুনিরিয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ ওলামা পরিষদের প্রচার সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মদ সায়েম, পশ্চিম গুজরা মুনিরিয়া দারুসুন্নাহ সিনিয়র মাদরাসার আরবি প্রভাষক মাওলানা আবুল কাশেম মাসুমী, আবদুস সালাম আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের হেড মৌলভী মাওলানা কাজী ইউনুস মুন্দার, মাওলানা সুলতান আহমদ ও হাফেজ শাহ নেওয়াজ।
শিক্ষার্থীদের হাফেজে কুরআনের ছবক প্রদান করেন প্রধান বক্তা মাওলানা বদিউল আলম আহমদী।
আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন গুজরা শ্যামাচরণ উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি শেখ আলাউদ্দীন, নবযাত্রা ফাউন্ডেশনের মহাসচিব আবু মনছুর, সমাজ সেবক জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।
মাদরাসা ও হেফজ খানার কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন উত্তর মার্দাশা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রধান শিক্ষক আবু তাহের মাস্টার, ফাউন্ডেশনের স্থায়ী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন, আবদুস সালাম কালু, তকি সিকদার বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জালাল উদ্দীন, বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি কাজী সরোয়ার খান মনজু, ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, সহ সভাপতি মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, আবুল কালাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ইসমাইল হোসেন সিরাজী, গিয়াস উদ্দিন, মোহাম্মদ নুরু উদ্দীন খান, হাসান তানভীর, আমির খান মুন্দার নূরানী মাদরাসা ও হেফজ খানার প্রধান হাফেজ মাওলানা আকতার হোসেন, মোস্তফা জামাল নিশান, রাশেদুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, ইমতিয়াজ হোসেন, সাজ্জাদ হোসেন, মোহাম্মদ মুন্না, মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ সুমন প্রমুখ।
শিক্ষার্থীদের উদ্যোশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, দ্বীনি শিক্ষায় জ্ঞান অর্জন করে সমাজকে আলোকিত সমাজ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আজকের শিশু আগামী দিনে সুযোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়তে তুলতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক ও অভিভাবকের আন্তরিকতাপূর্ণ সুসম্পর্কের বিকল্প নেই । অনেক শিক্ষার্থী হাফেজের ছবক নিয়েছেন তাদের পরিচর্যা করার দায়িত্ব শিক্ষক ও অভিভাবকের।
ঈদে মিলাদুন্নবী (স:) শীর্ষক দীর্ঘ তফছিরে বলেন আলেম ওলামায়ে কেরাম, কামেল পীরের মাধ্যমে ইসলাম প্রচার ও প্রসার ঘটেছে এ উপমহাদেশে। দ্বীনের দাওয়াত সকলের নিকট পৌঁছাতে হবে, নামাজ হচ্ছে বেহেশতের চাবি, তরিকতের মাধ্যমে আজ যুব সমাজ নামাজ আদায়সহ নানা দ্বীনের দাওয়াত ও ইসলামের খেদমত করে যাচ্ছেন।