শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না এনসিপি: ইসি সচিব

শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না এনসিপি: ইসি সচিব

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। তিনি বলেন, প্রতীকের নির্ধারিত তালিকায় শাপলা প্রতীক না থাকায় এনসিপিকে বিকল্প প্রতীকের প্রস্তাব পাঠাতে হবে।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান তিনি।

ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘আমাদের ১১৫টি প্রতীকের তালিকায় শাপলা প্রতীক নেই। নিয়ম অনুযায়ী রাজনৈতিক দলকে নির্ধারিত তালিকার ভেতর থেকেই প্রতীক নিতে হয়। তাই এনসিপি চাইলে অন্য কোনো প্রতীক বেছে নিতে হবে।’

তিনি জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়া চলমান আছে। নিবন্ধন-সংক্রান্ত নথিপত্র এখনো পর্যালোচনার পর্যায়ে রয়েছে। তবে প্রতীক সংক্রান্ত সমন্বয় কার্যক্রম ইতোমধ্যে এক ধাপ এগিয়েছে।

সচিব আরও বলেন, ‘এনসিপি প্রতীক চেয়ে আবেদন করেছে। কিন্তু তালিকায় শাপলা প্রতীক না থাকায় আমরা তাদের জানিয়েছি বিকল্প প্রস্তাব পাঠাতে। নিষ্পত্তি হবে ইসি ও দলের সম্মতিতে।’

তিনি জানান, আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে সুশীল সমাজ, শিক্ষক, নারী নেত্রী, সাংবাদিক, রাজনৈতিক দল ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করবে নির্বাচন কমিশন। পূজা ও ছুটির দিন বিবেচনায় নিয়ে ধাপে ধাপে এসব আলোচনার সময়সূচি নির্ধারণ করা হবে।

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রমও এগিয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন আখতার আহমেদ। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন নতুন খবর তৈরি করা যায় না। তবে আমরা নির্বাচনী প্রস্তুতির প্রতিটি ধাপে গণমাধ্যমকে নিয়মিত আপডেট দেওয়ার চেষ্টা করছি।’

এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন এবং একইসাথে দলের প্রতীক শাপলাও পাবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

জানা যায়, অনেকেই দাবি করেছেন বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক শাপলা। সেটি কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতীক হতে পারে না। তবে এনসিপি বলছে, তারা বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক নয়, জাতীয় ফুল শাপলাকে প্রতীক হিসেবে চেয়েছে।

নির্বাচন কমিশন তফসিলে নতুন করে ৪৬টি প্রতীক যুক্ত করে। এই ৪৬টি প্রতীক যুক্ত হওয়ার আগে ইসির তফসিলে ৬৯টি প্রতীক ছিল। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১১৫টি প্রতীক আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হয়। আইন মন্ত্রণালয় চাইলে এখান থেকে প্রতীক বাতিল বা নতুন প্রতীক অন্তর্ভুক্ত করতে নির্বাচন কমিশনকে সুপারিশ জানাতে পারত।

তবে আইন মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশনকে কোনো প্রতীক নিয়ে সুপারিশ করেনি।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp
Share on email