
বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ, চট্টগ্রাম গভীর উদ্বেগের সঙ্গে জানাচ্ছে যে, ব্যবসায়ীদের আপত্তি উপেক্ষা করে গত ১৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন মাশুল সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে, যা আগামী ১৩ অক্টোবর রাত ১২টার পর থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। নতুন এ মাশুলে আগের তুলনায় গড়ে প্রায় ৪১ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বিদেশি অপারেটরদের সুবিধা দিতেই এই মাশুল বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এক যৌথ বিবৃতিতে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক জাহিদুল করিম কচি ও সদস্য সচিব ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী বলেন, ২৯ বছরের ব্যবসায়িক জীবনে কখনো চট্টগ্রাম বন্দরের লোকসান দেখিনি। তাহলে হঠাৎ এত বড় হারে ট্যারিফ বাড়ানোর যৌক্তিকতা কোথায়? ব্যবসায়ীদের পক্ষে এই বাড়তি ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়। আমরা ইউরোপ-আমেরিকায় পণ্য রপ্তানি করি, যেখানে প্রতিযোগী দেশগুলো, ভিয়েতনাম, ভারত ও মালয়েশিয়া ইতিমধ্যে উৎপাদন ও পরিবহন খরচ কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। সেখানে উল্টো খরচ বাড়িয়ে নিজেদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছি, যা দেশের অর্থনীতির জন্য আত্মঘাতী।
জাহিদুল করিম কচি ও সদস্য সচিব ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী বলেন, মোংলা ও পায়রা বন্দরে মাশুল বাড়ানো হয়নি, অথচ শুধুমাত্র চট্টগ্রাম বন্দরে গড়ে ৪১ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে, কোনো কোনো খাতে তা ছয় গুণ পর্যন্ত। এই অতিরিক্ত মাশুলের বোঝা শেষ পর্যন্ত বহন করবেন দেশের সাধারণ মানুষ, দিনমজুর, শ্রমিক ও ভোক্তারা। আমরা বর্ধিত মাশুল স্থগিত রেখে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানাই।
তারা আরও বলা হয়, বন্দর ও ডিপোর নতুন মাশুল কার্যকর হলে একটি ২০ ফুট কনটেইনারে কাঁচামাল আমদানি করে পুনরায় রপ্তানির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ১০০ ডলারেরও বেশি ব্যয় হবে। এতে ছোট রপ্তানিকারকরা টিকে থাকতে পারবেন না। মাশুল কার্যকর হলে ভিয়েতনামের তুলনায় বাংলাদেশের রপ্তানি ব্যয় তিনগুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে।
অবিলম্বে চট্টগ্রাম বন্দরের বর্ধিত মাশুল স্থগিত রেখে ব্যবসায়ী মহল ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।