
সকালে চোখ খুলতে খুলতে চা-কফি পান নিত্যদিনের অভ্যাসের অংশ। আড়মোড়া ভেঙে শরীরকে চাঙা করতে ক্যাফেইনের ওপরই আস্থা সবার। খাবার পরে চা, মধ্যদুপুরে কফি, কফিশপগুলোতে আড্ডা যেন দৈনন্দিন শহরগুলোর প্রতিচ্ছবি। আর এ অভ্যাসই পরবর্তীতে আপনার মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। জানেন কি দিনে কতবার চা-কফি পান করলে হবে না কোনো রোগ?
বলিউড অভিনেত্রী কারিনা কাপুর ও আলিয়া ভাটের পুষ্টিবিদ ঋজুতা দিবেকর সম্প্রতি চা ও কফির নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পর্কে জানিয়েছেন, বিশেষ করে দুধ চা-কফির ক্ষেত্রে জানা বেশি জরুরি।
তিনি বলেন, রুটিন মেনে চলতে একজনের জন্য দুই থেকে তিন কাপের বেশি চা কিংবা কফি খাওয়া উচিত নয়। তবে যদি আপনার শরীরে কোন প্রভাব না ফেলে তাহলে বিষয়টি আলাদা।
হিমালয়ে একজন ৮০-৮৫ বছরের বৃদ্ধার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, দিনে ৫০ কাপ চা খেয়েও সুস্থ থাকেন, অম্বলের কোনো সমস্যা হয় না বৃদ্ধার। আপনি এমন হলে যত ইচ্ছা চা কিংবা কফি খেতে পারেন।
দিনে ২-৩ কাপের বেশি চা-কফি আপনার শরীরে অম্বলের কারণ হতে পারে। তাই ভেবে-চিন্তে নিজের শরীরের বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া আপনার দায়িত্ব।
তবে সকালে খালি পেটে চা-কফি পান একদমই নিষেধ করেছেন ঋজুতা। সকালে পেট ভরানোর জন্য পূর্ণাঙ্গ মিল খাওয়া যদি অসম্ভব হয়, তাহলে ফল দিয়ে দিন শুরু করতে পারেন। তবে হিমায়িত ফল খাওয়াও নিষেধ করেন তিনি। ফলের জুস খেলেও উপকারী ফাইবার শরীরে পৌঁছায় না।
বিকাল ৪টার পর চা-কফি পান একদম নিষেধ করেন পুষ্টিবিদ। এসময় চা-কফি খেলে রাতে ঠিকমতো সময়ে ঘুম না হওয়া ছাড়াও গ্রহণ করা খাবার থেকে শরীরে কোনো পুষ্টি প্রবেশ করে না বলেও তিনি জানান।







