তরুণ প্রজন্মের জন্য চট্টগ্রামকে গ্রিন, ক্লিন, হেলদি ও সেইফ সিটি হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে: মেয়র ডা. শাহাদাত

তরুণ প্রজন্মের জন্য চট্টগ্রামকে গ্রিন, ক্লিন, হেলদি ও সেইফ সিটি হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে: মেয়র ডা. শাহাদাত

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, “তরুণ প্রজন্মের জন্য চট্টগ্রামকে একটি গ্রিন, ক্লিন, হেলদি ও সেইফ সিটি হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে, গুরুজন ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সম্মান করতে হবে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।”
রোববার (২ নভেম্বর) হাজী আবদুল আলী সিটি করপোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন।
মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “সিটি করপোরেশনের আওতায় ৭৮টি বিদ্যালয় ও ২৪টি কলেজ রয়েছে। এলাকাবাসীর চাহিদা অনুযায়ী এখানে একটি কলেজ স্থাপনের সম্ভাবনা যাচাই করা হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মান উন্নয়নে আমরা ধারাবাহিকভাবে কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন, “গত এক বছরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন জলাবদ্ধতা নিরসনে ৫০ শতাংশ অগ্রগতি অর্জন করেছে। ৫৭টি খালের মধ্যে বেশিরভাগই সংস্কার করা হয়েছে। অবশিষ্ট খালগুলো দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।”
স্বাস্থ্য খাতে চলমান উদ্যোগের কথা তুলে ধরে মেয়র বলেন, “চট্টগ্রামকে একটি হেলদি সিটি গড়ে তুলতে নয় লাখেরও বেশি শিশুকে বিনামূল্যে টাইফয়েড ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। মেয়েদের জন্য এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম চালু করা হয়েছে যাতে ভবিষ্যতে জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধ সম্ভব হয়। এছাড়া ব্রেস্ট ক্যান্সার ও লিভার ক্যান্সার সচেতনতা মাসে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “চসিক মেমন হাসপাতালে শিশুদের জন্য নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (এনআইসিইউ) চালু হচ্ছে এবং স্বল্পমূল্যে ডায়ালাইসিস সুবিধাও যুক্ত করা হবে। এগুলো হেলদি সিটি গড়ার লক্ষ্য পূরণে করা হচ্ছে।”
মেয়র বলেন, “আমরা চাই নতুন প্রজন্মকে এমনভাবে গড়ে তুলতে যাতে তারা বৈষম্যহীন সমাজ নির্মাণে নেতৃত্ব দিতে পারে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সিটি করপোরেশনের ভর্তুকিকে আমরা ব্যয় নয়, বরং জাতি গঠনে বিনিয়োগ হিসেবে দেখি।”
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “মানুষ হতে হবে। কবি নজরুল বলেছেন— ‘গাহি সাম্যের গান, মানুষের চেয়ে নহে কিছু বড়, নহে কিছু মহীয়ান।’ সুতরাং মানুষ হয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা, সিনিয়র সহকারী সচিব ও শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমা বিনতে আমিন, স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য এস.এম. জিয়া উল হুদা, মোহাম্মদ নুরুল আকবর কাজল, মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান এবং ফিরোজ শাহ সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp
Share on email