চট্টগ্রাম ওয়াসাকে নিরবিচ্ছিন্ন পানি সরবহার , জনদুর্ভোগ কমিয়ে আনতে বললেন মেয়র ডা. শাহাদাত

চট্টগ্রাম ওয়াসাকে নিরবিচ্ছিন্ন পানি সরবহার , জনদুর্ভোগ কমিয়ে আনতে বললেন মেয়র ডা. শাহাদাত

চট্টগ্রাম নগরীতে নিরবিচ্ছিন্ন পানি সরবরাহের মাধ্যমে জনদুর্ভোগ কমাতে চট্টগ্রাম ওয়াসাকে আরও দ্রুত ও কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে চট্টগ্রাম ওয়াসার সাথে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। সভায় চসিকের পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম, তাসমিয়া তাহসিন, মাহমুদ শাফকাত আমিনসহ প্রকৌশলীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। চট্টগ্রাম ওয়াসার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম, চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, চট্টগ্রাম ওয়াসার ডি. পি. ডি আব্দুর রউফসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

সভায় চসিক প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ওয়াসার সুয়ারেজ প্রকল্পের কারণে নগরীর বিভিন্ন স্থানে অপরিকল্পিতভাবে রাস্তা খননের ফলে যানবাহন চলাচল ও নাগরিকদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় সিটি কর্পোরেশন ও ওয়াসার মধ্যে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ পরিচালনার ওপর তারা গুরুত্বারোপ করেন।

ওয়াসার কর্মকর্তারা জানান, চলমান সুয়ারেজ প্রকল্পটি নগরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রকল্প সম্পন্ন হলে চট্টগ্রামবাসী পানির সংকট থেকে মুক্তি পাবে। তবে সাময়িক অসুবিধা হলেও দীর্ঘমেয়াদে এটি নগরবাসীর জন্য উপকারী হবে।

সভায় মেয়র বলেন,ওয়াসার প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে নগরবাসীকে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা। বর্তমানে পানি পাওয়া অনেকটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনগণ এখন কষ্ট পাচ্ছে, তাই কাজগুলো সময়মতো শেষ করা এবং সঠিকভাবে পরিচালনা করা অত্যন্ত জরুরি।

তিনি আরও বলেন, ওয়াসা ও সিটি কর্পোরেশন উভয়ই জনসেবামুখী প্রতিষ্ঠান। তাই এখানে দ্বন্দ্ব নয়, বরং সমন্বয় জরুরি। ঠিকাদারদের কাজের মান ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে টেকনিক্যাল ত্রুটি বা রাস্তার ক্ষতির কারণে জনভোগান্তি না বাড়ে।

মেয়র ওয়াসাকে সুনির্দিষ্ট সময়সূচি মেনে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যখন রাস্তা খননের কাজ শুরু করবেন, তখন সিটি কর্পোরেশনকে জানাতে হবে। আমরা যদি আগে রাস্তা করে দিই, পরে যদি ওয়াসা এসে সেটি খুঁড়ে ফেলে, তাহলে জনগণের ক্ষোভ বাড়বে। তাই বার্ষিক পরিকল্পনা অনুযায়ী সমন্বিতভাবে কাজ করা প্রয়োজন। সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলে ইতোমধ্যে নগরের জলাবদ্ধতা ৫০% হ্রাস করা সম্ভব হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের সমন্বয় অব্যাহত থাকলে নগরীর অন্যান্য সমস্যাও অনেকাংশে সমাধান হবে।

এসময় মেয়র ওয়াসা ও চসিকের যৌথ সমন্বয় করে ৭-৮ জনের কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন এবং মাসিকভাবে উভয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নিয়মিত বৈঠক আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp
Share on email