
চট্টগ্রামের চন্দনাইশে সাদিয়া সোলতানা আলফি (১৯) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার বরকল ইউনিয়নের পূর্ব কানাইমাদারী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং নিহতের স্বামীকে আটক করেছে।
নিহত সাদিয়া সোলতানা আলফি ওই গ্রামের মো. মিজানুর রহমান রিদোয়ানের স্ত্রী এবং সাতকানিয়ার খাগরিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়ার বশর মেম্বারের বাড়ি এলাকার শহিদুল্লার মেয়ে।
জানা গেছে, ছয়-সাত মাস আগে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শ্বশুর পরিবারের লোকজন আলফিকে নির্যাতন করতো। বুধবার সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা দরজা ভেঙে ঢুকে দেখেন আলফির মরদেহ বাথরুমে পড়ে আছে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
স্থানীয় শফিকুল ইসলাম জানান, স্বামী রিদোয়ান মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন।
তবে ভিকটিম আলফির মামা নাজিম উদ্দীন জানান, রিদোয়ান মানসিক রোগী নয়। গত দেড় মাস আগে ব্যবসার জন্য তিনি শ্বশুরের নিকট ৩ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে না পারায় আলফির ওপর নির্যাতন শুরু করে রিদোয়ান। ঘটনার দিন রাতে তিনি পরিকল্পিতভাবে আলফিকে হত্যা করে মরদেহ বাথরুমে রেখে দেয়। সকালে আলফির পরিবার হাজির হলে রিদোয়ান ঘুম থেকে উঠে দরজা বন্ধ করে আলফির মরদেহ বাথরুম থেকে টেনে বের করে।
নাজিম উদ্দীন আরও জানান, রিদোয়ান পরে পাগলের ভান করে পরনের কাপড় ছিঁড়ে উলঙ্গ হয়ে যায়। এলাকায় কিছু লোকও তাকে পাগল সাজানোর চেষ্টা করছে। মূলত টাকা না পাওয়ায় তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
চন্দনাইশ থানার এসআই মো. নুর আমজাদ জানান, খবর পেয়ে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদে স্বামী রিদোয়ানকে আটক করা হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চন্দনাইশ থানার ওসি গোলাম সারোয়ার বলেন, ‘ঘটনাটি গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।’