
উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সরওয়ার আলমগীর বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনমুখি দল। গণতন্ত্র ফেরাতে প্রয়োজন নির্বাচন কিন্তু দু একটি দল নির্বাচন
বানচাল করার পাঁয়তারা করছে। এ ষড়যন্ত্রে তারা কখনো সফল হবে না।
তিনি বুধবার বিকালে ফটিকছড়িতে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত র্যালিপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ১৬ বছর বিএনপির যে ক্ষতি করে নাই,৫ আগস্টের পর জামায়াত তার চেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে। তিনি বলেন,জামায়াত বহু মধু খেয়েছে,মধু খাওয়ার দিন শেষ হয়ে গেছে। এবার বিদায়ের পালা।
তিনি বলেন,লন্ডনে যেদিন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারেক রহমানের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক হয়েছে সেদিন থেকে দেশের নির্বাচনী ট্রেন টানেলে প্রবেশ করেছে। এ নির্বাচন বানচাল করার ক্ষমতা কারো নেই।
সরওয়ার আলমগীর বলেন, নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ততই বাড়ছে। এ বিষয়ে বিএনপির প্রত্যেক নেতা–কর্মীদের সর্তক থেকে কাজ করতে হবে। ভারতে প্রেসক্রিপশন নিয়ে যারা ক্ষমতা দখল করতে চায়, জনগণ তাঁদের আওয়ামী লীগের মতো শিক্ষা দিয়ে দেশ থেকে বিতাড়িত করবে। বিএনপি কোনো প্রভু দেশের তাঁবেদারির রাজনীতি করে না। শহীদ জিয়ার আদর্শের দল কখনো জনগণের সঙ্গে বেইমানি করে না। আপসহীন নেত্রী বেগম জিয়া দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে জেলে ছিলেন। সেই জনগণই তাঁকে সম্মান দিয়ে আজ দেশের রাজনীতিতে চিরস্মরণীয় করেছে। আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনায় বিএনপি স্বৈরাচার বিতাড়িত করেছে।
তিনি বলেন, হাসিনা পালিয়ে গেছে, তবে তার প্রেতাত্ত্বা এখনো বাংলাদেশে রয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে এবং বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় আসবে। তারেক রহমান হবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
ফটিকছড়ি পৌরসভা বিএনপি’র আহ্বায়ক মোবারক হোসেন কাঞ্চন, এর সভাপতিত্বে সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ ও মুনসুর আলম চৌধুরীর যত সঞ্চালনায়
অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন,নূর মোহাম্মদ , বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুব আলম, নাজিম উদ্দিন শাহীন, তাহের সিদ্দিকী, নূর ইসলাম, জয়নাল আবেদীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা বজল, আবু আজম তালুকদার, আবুল হোসেন আবু, আবুল খায়ের, আহম্মদ সাফা, এনাম, নাজিম উদ্দিন বাচ্চু, সফিউল আলম, নাছির উদ্দিন, শাহারিয়ার চৌধুরী, নূরুল হুদা, সোলায়মান, আজম খান, জাহেদ মেম্বার, দৌলত মিয়া, মোজাম্মেল, কুতুবি, রশিদ চৌধুরী, নাসির কন্টাকটার, সমসু মেম্বার, নজরুল, জসিম উদ্দিন নান্নু, আবু সালেহ, আজিজ, শহিদুল হক, শহীদ, হাসান, লিটন, মামুন সরোয়ার, একরাম, এমদাদ, আমান, মোজাহারুল ইকবাল লাভলু, নাছির, তারেক, নূরুল আলম, মহিন উদ্দিন, মাহফুজ, বখতিয়ার, ইমরান, মোজাম্মেল, আনোয়ার, এমদাদ, নাজিম, শাকিল।
পরে একটি বিশাল র্যালি বিভিন্ন সড়পক প্রদক্ষিণ করে।