
বাংলাদেশের রাজনৈতিক আকাশে একটি নাম আজ ধ্রুবতারার মতো উজ্জ্বল—তারেক রহমান। আগামী ২৫ ডিসেম্বর দীর্ঘ প্রবাস জীবনের অবসান ঘটিয়ে তিনি ফিরছেন প্রিয় মাতৃভূমিতে। এই ফেরা কেবল একজন নেতার ঘরে ফেরা নয়; এটি যেন শহীদ জিয়ার আদর্শ, বেগম জিয়ার আপসহীন লড়াই এবং কোটি মানুষের রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষার এক মহেন্দ্রক্ষণ।
শহীদ জিয়ার সেই অদম্য প্রেরণা
তারেক রহমানের ধমনিতে বইছে আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রক্ত। শহীদ জিয়া বিশ্বাস করতেন—”ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়।” তিনি খাল কাটা বিপ্লব আর গ্রাম সরকার গঠনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছিলেন। আজ তারেক রহমানের কণ্ঠে যখন ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফা’ শুনি, তখন মনে পড়ে জিয়ার সেই ১৯ দফার কথা। পিতার মতোই তিনি বিশ্বাস করেন, জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো সংস্কার টেকসই হতে পারে না। তারেক রহমান আজ সেই হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা, যিনি শহীদ জিয়ার অসমাপ্ত স্বপ্নকে তারুণ্যের শক্তিতে বাস্তবে রূপ দিতে বদ্ধপরিকর।
মা ও ছেলের সংগ্রামের মহাকাব্য
তারেক রহমানের রাজনীতির সবচেয়ে বড় পাঠশালা হলো তার মা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জীবন। দেশনেত্রী শিখিয়েছেন—”আপস করার চেয়ে মৃত্যুই শ্রেয়।” দীর্ঘ দেড় দশক ধরে এই পরিবারকে যে চরম নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে, তা ইতিহাসে বিরল। একদিকে মায়ের অসুস্থতা আর কারাবরণ, অন্যদিকে ছেলের নির্বাসিত জীবন—এই বিচ্ছেদ কেবল একটি পরিবারের নয়, ছিল সমগ্র গণতন্ত্রকামী জনগণের। আজ তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন যেন সেই সংগ্রামের এক চূড়ান্ত বিজয়। মায়ের ধৈর্য আর ছেলের দূরদর্শিতা আজ মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।
দলীয় গণ্ডি পেরিয়ে জনমানুষের আকাঙ্ক্ষা
তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে আনন্দ-উচ্ছ্বাস কেবল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, বরং তা ছড়িয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের মনেও। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া আজ যেন এক নতুন উৎসবের অপেক্ষায়। সাধারণ মানুষ তার মাঝে খুঁজে পায়:
নিরাপত্তার নিশ্চয়তা: বছরের পর বছর ভয়ের যে সংস্কৃতি তৈরি হয়েছিল, তা থেকে মুক্তির আশ্বাস।
ভোটের অধিকার: সাধারণ মানুষ চায় তাদের প্রতিনিধি তারা নিজেই নির্বাচন করবে, আর তারেক রহমান সেই ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের প্রধান কাণ্ডারি।
আগামীর ভরসা: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি আর বেকারত্বের যাঁতাকলে পিষ্ট সাধারণ মানুষ মনে করে, তারেক রহমানের নেতৃত্বে এক নতুন অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটবে।
২৫ ডিসেম্বরের এই দিনটি ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। বিমানবন্দর থেকে নয়াপল্টন পর্যন্ত যে জনসমুদ্রের ঢেউ আছড়ে পড়বে, তা হবে মূলত তারুণ্যের উচ্ছ্বাস আর আগামীর বাংলাদেশের স্বপ্ন। তারেক রহমান আসছেন একটি বিভক্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে, প্রতিহিংসার রাজনীতি দাফন করতে এবং বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে এক মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে।
স্বাগতম হে তারুণ্যের অহংকার, স্বাগতম তারেক রহমান। আপনার আগমনে বাংলাদেশ আবার হাসবে, সাধারণ মানুষ আবার তার অধিকার ফিরে পাবে।
এম. তৌহিদুল ইসলাম
সাংবাদিক ও লেখক







