
টালিউড অভিনেত্রী ইধিকা পাল দিন দিন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন। ঢালিউড অভিনেতা শাকিব খানের সঙ্গে জুটি হয়ে ‘প্রিয়তমা’ সিনেমায় অভিনয়ের পর থেকেই ইধিকা পাল সবখানেই দাপটের সঙ্গে কাজ করে চলেছেন।
তাই টালিউডে তার নাম হয়েছে ‘বাংলার ক্রাশ’।
‘পিলু’ ধারাবাহিক শেষ হওয়ার পর আর ছোটপর্দায় দেখা যায়নি তাকে। এরপর একের পর এক সিনেমায় অভিনয় করে চলেছেন তিনি। তার সেই সাফল্যই প্রমাণ করেছে সত্যিই তিনি ‘বাংলার ক্রাশ’।
তিনি কারও ‘প্রিয়তমা’ হয়েছেন, আবার কারও কাছে ‘কিশোরী’। বিপরীতে কখনো শাকিব খান, কখনো দেব, আবার কখনো সোহম চক্রবর্তীর মতো নায়করা জুটি হয়ে কাজ করছেন।
স্বামীর সঙ্গে গণেশ পূজায় সোনাক্ষী, সমালোচনার মুখে জাহির ইকবাল
এভাবেই অভিনেত্রী ইধিকা পালের ঝুলিতে একের পর এক বড়পর্দার কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে সেই দিনগুলোর কথা খোলাসা করে বলেছেন অভিনেত্রী।
ইধিকা পালন বলেন, পূজাটা আমার কাছে শাসন থেকে মুক্তির মতো। আমার বেড়ে ওঠা দক্ষিণ কলকাতায়। যেখানে প্রতি দুই পা অন্তর বড় বড় পূজা।
কিন্তু সত্যি বলতে ভিড় আমার ভালো লাগত না। যে কারণে সেভাবে ‘প্যান্ডেল হপিং’ করে ওঠা হয়নি আমার। যদিও এখন অবশ্য উল্টো। ভিড় ভালো লাগে। লোকে যখন চিনতে পারে, অটোগ্রাফ চায় ভালো লাগে। নাহ, বড়বেলার কথা থাক। একটু ছোটবেলায় ফিরে যাই।
অভিনেত্রী বলেন, আমি ছোট থেকে বেশ শাসনেই বড় হয়েছি। একদম ছোটবেলায় বাবার হাত ধরে বেড়াতাম। যে কটা মণ্ডপ দেখার, দেখিয়ে দিয়ে সেই বাড়িতেই।
তবে একটু বড় হতেই বন্ধুদের সঙ্গে রাতে বেরোনোর ছাড়পত্র পেলাম। আর যেটা পেলাম, সেটা হলো হাত খরচ। এমনিতে সারাবছর তো সেসব পেতাম না, বাড়ি থেকে বেরোনোর অনুমতি ছিল না। পূজার কটা দিন তাই দারুণ মজা।
তিনি বলেন, সেই সময় হোটেলে খাওয়া থেকে কলকাতা ঘোরা সব চেটেপুটে উপভোগ করতাম। অনেকে অবশ্য পূজার সময় প্রেম করত। আমি সুযোগ পাইনি। কারণ পূজাটা আসার আগেই মা সেই প্রেম ভাঙিয়ে দেয়।
এরপরও চেষ্টা করেছিলাম এক-দুবার, ধরা পড়ে যাই বাড়িতে। তাই আর প্রেম করা হয়নি। কারণ মা কড়া শাসনে রাখত সবসময়। যদিও এখন ব্যাপারটা উল্টো। কয়েক বছর পর মা নিজেই বলবে একটা প্রেম তো করতে পারিস!